• বিকাল ৪:৩০ মিনিট মঙ্গলবার
  • ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : গ্রীষ্মকাল
  • ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
নারায়ণগঞ্জ পল­ী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালন সোনারগাঁয়ে তিনদিন ব্যাপী ফায়ার সার্ভিসেরর স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষন সোনারগাঁয়ে আস্থা ফিডে সেনা প্রধান সোনারগাঁয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ সোনারগাঁও পৌরসভায় কালামের কেন্দ্র কমিটির সভা সোনারগাঁয়ে বিশ বছর পর বাকপ্রতিবন্ধী ভাইকে ফিরে পেলেন তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান কালামকে বিজয়ী করেতে জামপুরে আলোচনা সভা সোনারগাঁয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন ৫ প্রার্থী সোনারগাঁয়ে ভবন ঘেঁষে মাটি খনন, ভেঙ্গে পড়লো পাশের স্থাপনা কালাম একমাত্র যোগ্য প্রার্থী, উপজেলা নির্বাচনে তাকে ভোট দিন: ডা. বিরু সোনারগাঁয়ে সার্বজনীন পেনশন মেলা ও স্পট রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্ধোধন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বউয়ের মামলা সোনারগাঁয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, ৪ জন বাতিল সোনারগাঁয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবককে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ সানাউল্লাহকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে হত্যা চেষ্টা ও ১৫ মামলার আসামী গ্রেপ্তার বন্দরে ইউএনও অফিসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যের আত্মহত্যা সোনারগাঁয়ে ২দিন ধরে মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ সোনারগাঁয়ে দুই ব্যাক্তি আটক, ৪৯ লাখ জাল টাকা উদ্ধার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আজিজুল ইসলাম মুকুল সোনারগাঁয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৪ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
করোনায় বিরুপ প্রভাব সোনারগাঁয়ের অর্থনীতি

করোনায় বিরুপ প্রভাব সোনারগাঁয়ের অর্থনীতি

Logo


নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: গত দু বছর ধরে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁ উপজেলার ছোট, মাঝারী ও বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। করোনায় ব্যবসা বানিজ্য অব্যাহত মন্দার কারণে ছোট হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। আবার নিয়মিত লোকসানের মুখে বাধ্য হয়ে শিল্প-কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে অনেক শিল্প-মালিকরা। শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বেকার হয়ে পড়েছে অনেক কর্মজীবি মানুষ। যা প্রভাব পড়েছে সর্বক্ষেত্রে। বিশেষ করে শিল্প নগরী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া সোনারগাঁয়ে গার্মেন্ট শিল্পে সবচেয়ে বেশী প্রভাব পড়েছে করোনা ভাইরাসে।

জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের শেষের দিকে সোনারগাঁ উপজেলাকে শিল্প-নগরী এলাকা হিসেবে ঘোষনা করে সরকার। যদিও এর বহু আগে থেকে মেঘনা ও কাঁচপুর ইউনিয়নকে শিল্পনগরী ঘোষনা করা হয়। ২০১৬ সালে নতুন শিল্প নগরী হিসেবে সোনারগাঁকে ঘোষনার পর গড়ে উঠতে থাকে বড় বড় শিল্প কারখানা ও অর্থনৈতিক অঞ্চল। বর্তমানে সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের দুটি ও আমার গ্রুপের একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। এছাড়া কাঁচপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে আরো বহু প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে সোনারগাঁয়ের উপর দিয়ে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও উপজেলার চারপাশে মেঘনা শীতলক্ষা ও ব্রক্ষ্মপুত্র নদী থাকার কারণে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহন সুবিধার কারণে শিল্প মালিকরা শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ সোনারগাঁ। বর্তমানে কয়েক বছরের ব্যবধানে সোনারগাঁ বাংলাদেশের কয়েকটি শিল্প অঞ্চলের মধ্যে একটি। কিন্তু গত দু’বছর ধরে করোনা ভাইরাসের কারণে মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে উপজেলার প্রতিটি শিল্পখাতে। করোনার ভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার সবচেয়ে বড় গার্মেন্ট সিনহা গামের্ন্ট এন্ড ওপেক্স এর মতো কয়েকটি ছোট বড় ও মাঝারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এতে বেকার হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী। আবার অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান সময় মতো বিদেশী ভায়ারদের মালামাল শিপমেন্ট করতে না পারার কারণে সময় মতো শ্রমিকদের বেতন ভাতা না দিতে পারায় আন্দোলনের মুখে জিমিয়ে পড়েছে উৎপাদন ব্যবস্থা। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন মালিক কর্মচারী উভয়ই। তাদের ক্ষতিগ্রস্থের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাদের সাথে সম্পৃক্ত সকল ব্যক্তি ও ক্ষদ্র ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চল খ্যাত মেঘনা ও কাঁচপুর এলাকার ব্যবসায়ীরা যার প্রভাব পড়েছে পুরো উপজেলার। যার ফলে অনেকে তাদের কর্ম বদল করে বা কোম্পানীর চাকরী হারিয়ে বেছে নিয়েছেন বিকল্প পেশা।

উপজেলার কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ স্থানের অটো রিক্সা চালকের সাথে কথা বলা জানা গেছে, তারা করোনা ভাইরাসের আগে রাজধানী ও উপজেলার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে কোম্পানীর উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় লোকবল কমানোর কারণে ও অনেক কোম্পানী আবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তারা বেকার হয়ে পড়েন। পরে তাদের জমানো শেষ সম্বল দিয়ে একটি অটো রিক্সা কিনে তার আয় দিয়ে পরিবারকে লালন পালন করছেন। আর যার কোন অর্থ সম্পদ নেই তারা অন্যের জমিতে চাষাবাদ করে সংসার চালাচ্ছেন। অপরদিকে শিল্প কারখানা বন্ধ ও উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা শ্রমিক ও কর্মচারীরা ভাড়া বাসাবাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে যার যার এলাকায় চলে যাওয়ার কারণে যারা বাসা ভাড়া দিয়ে অর্থ উর্পাজন করতেন তাদেরও উর্পাজন বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ভাড়া বাসাগুলো খালি পড়ে থাকায় তারাও অর্থ কষ্টে রয়েছেন।

মেঘনা শিল্পাঞ্চলের মাসুম বিল্লাল জানান, তার বাড়ি শিল্পাঞ্চলে হওয়ার কারণে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে চাকুরী করতো কিন্তু করোনার কারণে এখন অনেক শ্রমিক কর্মচারীরা ভাড়া বাসা ছেড়ে বিভিন্ন এলাকায় চলে গেছেন। এতে ভাড়া বাসা খালি হয়ে যাওয়ার কারণে তার উর্পাজনে ভাটা পড়েছে।

কাঁচপুর এলাকার মুদি দোকানদার রমিজ জানান, দেশের মধ্যে কাঁচপুর একটি অন্যতম শিল্প এলাকা। এখানে লাখের বেশী শ্রমিক কর্মচারী বাস করতেন। সিনহার মতো বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে শ্রমিকরা এলাকা ছাড়ার কারণে তাদের বেচাবিক্রি কমে গেছে। অনেক শ্রমিক ছিলো যারা বাকিতে মালামাল কিনে মাস শেষে বেতন পেয়ে টাকা পরিশোধ করতে তাদের অনেকে এখন নেই। অনেকে আবার বকেয়া বেতন না পেয়ে রাতারাতি টাকা না দিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। এতে তার মতো অনেক দোকানদার আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

আল মোস্তফা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল জানান, মেঘনা শিল্পাঞ্চলে ও ইকোনোমি জোনে তার কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। করোনা শুরুর পর থেকে তিনি কয়েকটা কোম্পানী ছাড়া বাকি সবগুলি প্রতিষ্ঠানে মাসের পর মাস লোকসান গুনছেন। এতে করে তার শ্রমিকদের বেতন ঠিক মতো পরিশোধ করতে পারছেন না। অপরদিকে, প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসানের কারণে ব্যাংকের সুদ দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন। সরকার থেকে প্রনোদনা পেলেও তার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারছেন না। এভাবে চললে কিছুদিন পর তার প্রতিষ্ঠানও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution